জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের তৃতীয় জানাজা জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে মিজানুর রহমান খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে।
জানাজার আগে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, মিজানুর রহমান খান তার সন্তানদের নিয়ে যে স্বপ্ন দেখতেন তা যেন সফল হয়। আমরা সরকারের কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সহায়তা করব।
প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, দুই দশক আগে মিজান ভাই দৈনিক মুক্তকণ্ঠে আমার সহকর্মী ছিলেন। তার হাসি ছিল খুবই অমায়িক। তিনি শুধু সাংবাদিক ছিলেন না। এর বাইরে তিনি একজন গবেষক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র নিয়েও গবেষণা করেছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মিজানুর রহমান খানের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা ছিল। তিনি সাংবাদিকতায় উজ্জ্বল নক্ষত্র। আমরা তাকে সৎ নির্ভীক সাংবাদিকতা করতে দেখেছি। তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেছেন, চাপের কাছে কখনো নতি স্বীকার করেননি। আমি মিজানুর রহমান খানের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, মিজানুর রহমানের ভাই সিদ্দিকুর রহমান খান।
বাদ আসর তার তার মরদেহ রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।